সিএসবি রিপোর্ট, ১৫ সেপ্টেম্বর ॥
উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের এক চকিদারের রমরমা বাণিজ্যে অসহায় এলাকার সাধারণ মানুষ। কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা থাকুক আর না থাকুক, তার অন্যায় আবদার রক্ষা না করলে তার কোন রক্ষা নেই। তাছাড়া স্থানীয় পরিষদের চেয়ারম্যান তো দুরের কথা, স্বয়ং ওসি বা এসপি’কেও কোন পরোয়ানা করে না এলাকায় প্রকাশ্যে বলে বেড়ায় ওই চকিদার। তার নাম আবু ছিদ্দিক। বর্তমানে জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চকিদারের দায়িত্ব পালন করছে সে। প্রতিদিন তার চাঁদাবাজি, লম্পট্য ও অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারেরা প্রতিকার চেয়ে ১৩ আগষ্ট উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি আবেদন করেছে। একই কপি উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)’র বরাবরে পাঠানো হয়। ওই আবেদনে জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের ১০ জন মেম্বারের স্বাক্ষর রয়েছে।
জানা গেছে, উখিয়া জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের চকিদারের পদটি খালি থাকায় বর্তমান চৌকিদার আবু ছিদ্দিক স্থানীয় নাগরিক না হয়েও এক প্রভাবশালীকে হাত করে কৌশলে চৌকিদারের দায়িত্ব নেন। পরে বছর যেতে না যেতেই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সাথে আতাঁত করে পুলিশের অভিযানে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে আসছে। পাশাপাশি স্থানীয় সাধারণ লোক জনকে কথায় কথায় পুলিশী ভয়, মামলার ভয়সহ নানা হয়রানি করে আসছে। অসহায় কৃষক, দিনমজুর, রিক্সা চালক থেকে শুরু করে কেউ রেহাই পাচ্ছে না তার হয়রানি থেকে। প্রতিদিন বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করেই চলেছে। গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভুক্ত অপরাধীদের কাছ থেকে অবৈধ উৎকোচ নিয়ে পলিশী অভিযানে আগেই তাদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। অপরদিকে যাদের কোন ধরণের মামলা নেয়, তাদেরকে মামরা রয়েছে বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। এরই ধারাবাহিকতায় নিদানিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মতলবের ছেলে সৌদি প্রবাসি আব্দুল মাজেদকে বিনা ওয়ান্টে পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে যায়। যা পরবর্তীতে পুলিশ দু:খ প্রকাশ করে থানা হাজত থেকে ছেড়ে দেয়। আব্দুল মাজেদের মতো অসংখ্য লোকদের এভাবে প্রতিদিন হয়রানি করে আসছে ওই চৌকিদার আবু ছিদ্দিক। তার দাপটে পরিষদের মেম্বার ছাড়াও চেয়ারম্যানও অসহায় হয়ে পড়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসিদের মতে, চৌকিদার আবু ছিদ্দিকের এতো ক্ষমতার উৎস কি? তার খুটির জোর কোথায়? কার ইন্দনে চৌকিদার আবু ছিদ্দিকের এই বেপরোয়া? হাজারো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। এ ব্যাপারে জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোছাইন চৌধুরীর সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
প্রকাশিত: ১৫/০৯/২০১৩ ১:৫১ অপরাহ্ণ , আপডেট: ১৫/০৯/২০১৩ ২:০৫ অপরাহ্ণ
পাঠকের মতামত